Ad-1

if( aicp_can_see_ads() ) {

Indian polity সম্পর্কিত কিছু আলোচনা (পর্ব ২)

1.  1971 সালের 26 তম সংশোধনী আইনের দ্বারা   Privy Purse অর্থাৎ নৃপতির ব্যক্তিগত ব্যয় নির্বাহ ভাতাবাতিল করা হয়েছে । । সংসদ যদি অনুমোদন করতে থাকে তাহলে রাষ্ট্রপতি জারি করা জরুরি অবস্থা অর্থাৎ 352 নং ধারা অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত চলতে থাকবে ।

2. পশ্চিমবঙ্গের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রথম অনুষ্ঠিত হয়েছিল 1978 সালে। 
   59 তম সংশোধনী আইনের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি 356 নং ধারা অনুযায়ী পাঞ্জাবে তিন বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন ।
3. কেন্দ্রীয় রাষ্ট্র কৃত্যক কমিশন  (UPSC) এর সদস্যগণ 65 বছর বয়স অবধি স্বপদে বহাল থাকতে পারেন ।সংবিধানের 29 নং ধারা অনুযায়ী সংখ্যালঘুদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য বিশেষ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে । ভারতের সংবিধানে 240 নং ধারা অনুযায়ী অর্থ কমিশন গঠনের কথা বলা হয়েছে । রাষ্ট্রপতি প্রতি পাঁচ বছর অন্তর কেন্দ্র-রাজ্য অর্থনৈতিক নির্ধারণ করার জন্য অর্থ কমিশন গঠন করে থাকেন ।সম্প্রতি পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের (2020-2025) চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনীত হয়েছেন নন্দকিশোর সিং

4.   ভারতের রাজ্যগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক উপজাতি দেখা যায় মধ্যপ্রদেশে ।
 লোকসভাতে তপশিলি উপজাতি জন্য সবচেয়ে বেশি আসন সংরক্ষিত রয়েছে মধ্যপ্রদেশ থেকে ।সম্প্রতি (Nov. 2017) ভারতের প্রথম Tribal Entrepreneurship Summit  অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ছত্রিশগড়ের  দান্তেওয়ারতে । অঙ্গরাজ্যের বিধানসভা গুলিতে ন্যূনতম 60  এবং সর্বাধিক 500 টি আসন থাকতে পারে । 
     মন্ত্রিপরিষদের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক কাজ হল সংসদে বাজেট প্রস্তুতি এবং বাজেট উত্থাপন করা।   লোকসভায় যদি অনাস্থা প্রস্তাব (Vote of  no Confidence )পাস হয় তাহলে সমগ্র  মন্ত্রিসভাকে পদত্যাগ করতে হয় ।

5. ভারতের সংবিধানের 276 নং ধারা অনুযায়ী  পেশা কর ( Professional Tax) শুধুমাত্র রাজ্য সরকার ই গ্রহণ করে থাকে । সংবিধানের 245 থেকে 254 নং ধারায় (Part- XI) কেন্দ্র রাজ্যের মধ্যে প্রশাসনিক সম্পর্ক ব্যাখ্যা করা হয়েছে ।  

    80 তম সংশোধনীর (2000) দ্বারা সংবিধানের 269 নং এবং 270 নং ধারা সংশোধন করা হয়েছিল এবং 272 নং ধারা বাতিল করা হয়েছিল । 

6.  ভারতের সংবিধানের সপ্তম তপশিলি-এ কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে ক্ষমতা বিভাজন করা হয়েছে ।
    এই তপশিলি-এর   অন্তর্গত তিনটি তালিকার মাধ্যমে কেন্দ্র ও রাজ্যের ক্ষমতা বন্টন করা হয়েছে ।
 যথা :  কেন্দ্রীয় তালিকা , রাজ্য তালিকা ও যুগ্ম তালিকা ।  

  সংবিধানের 368 নং ধারা অনুযায়ী ভারতের রাষ্ট্রপতি তার কার্য সম্পাদনের জন্য কিছু অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন । 

7.  ভারতের সংবিধানের দশম তপশিলি 52 তম সংশোধনী আইন অনুযায়ী 1985  সালে দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রণয়ন করা হয়েছে । এই আইন প্রণয়ন এর ফলে ভারতের জাতীয় এবং আঞ্চলিক রাজনীতিতে  দলত্যাগ এর   প্রবণতা অনেকটাই হ্রাস  পেয়েছে ।  একে  দশম তপশিলে (!0 th Schedule )স্থান দেওয়া হয়েছে । 

      দলত্যাগ বিরোধী আইন যখন পার্লামেন্টে পাস হয় তখন এই বিলের বিরুদ্ধে একটি ভোটও পড়েনি ভারতের ইতিহাসে বিরল । 

8. ভারতের সংবিধান যখন প্রবর্তিত হয় তখন প্রতিটি নাগরিকের ভোটদানের নূন্যতম বয়স ছিল 21 বছর কিন্তু 1988 সালে 61 তম সংশোধনী আইনের দ্বারা প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের ভোট দানের বয়স 21 থেকে কমিয়ে 18 বছর করা হয় । প্রসঙ্গত এই আইনটি 1989 সালের 28 মার্চ থেকে কার্যকরী হয় ।  

9.  ভারতের প্রধানমন্ত্রী হবার জন্য প্রার্থীকে ন্যূনতম 25 বছর বয়স অবশ্যই হতে হয় । সাধারণত লোকসভা ভোটে জয়ী সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের বা জোটের নেতা কে প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করান রাষ্ট্রপতি । 
     সংবিধান সংশোধনী বিলটি সংসদের উভয় কক্ষের পৃথকভাবে পাশ হওয়ার  পর  রাষ্ট্রপতির সম্মতি লাভ করলে তবেই আইনে পরিণত হয় ।  
       
10.  রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে মন্ত্রীদের মধ্যে মন্ত্রক (portfolios) বণ্টন  করেন । 
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার ব্যাপ্তি কখনোই লোকসভার 15 শতাংশের অধিক হতে পারেনা । 

      রাষ্ট্রপতি সর্বোচ্চ দুই জন  ইঙ্গ- ভারতীয়কে লোকসভায় মনোনীত করতে পারেন ।  ভারতের পার্লামেন্ট গঠিত হয় - লোকসভা ,রাজ্যসভা এবং রাষ্ট্রপতি কে নিয়ে কিন্তু রাষ্ট্রপতি রাজ্যসভা /লোকসভা- কোন কক্ষের  সদস্য  নন। 

11.   ভারতের সংসদ ইমপিচমেন্ট পদ্ধতি দ্বারা ভারতের উপরাষ্ট্রপতি কে পদচ্যুত করতে পারেন ।সর্বাধিক আড়াইশো জন সদস্য নিয়ে রাজ্যসভা গঠিত।  এর মধ্যে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে 238 জন নির্বাচিত হন । রাষ্ট্রপতি 12 জনকে মনোনীত করেন ।


12.   রাষ্ট্রপতি রাজ্যসভাতে 12   জন এবং লোকসভা দুজন সদস্য মনোনীত করতে পারেন । এইভাবে পার্লামেন্টে তিনি মোট 14 জন সদস্য মনোনীত করতে পারেন । সংবিধানের 368 নং ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা জারি করতে পারেন । রাষ্ট্রপতি জারি করা এই আর্থিক জরুরি অবস্থা সংসদের অনুমোদন ব্যতীত সর্বোচ্চ দুই মাস কার্যকরী থাকতে পারে। 

13. ভারতের সংবিধানে 44 তম সংশোধনী (1978) দ্বারা  বলা হয়েছে যে , রাষ্ট্রপতি মন্ত্রিসভার প্রদেয়  উপদেশ পুনর্বিবেচনার জন্য প্রেরণ করতে পারেন কিন্তু মন্ত্রিসভা সেই একই উপদেশ পুনঃ প্রেরণ  করলে রাষ্ট্রপতি সেটা গ্রহণ করতে বাধ্য হন । 


14.  ভারতের সংবিধানের 64 নং ধারা অনুযায়ী ভারতের  উপ রাষ্ট্রপতি  পদাধিকারবলে রাজ্যসভা চেয়ারম্যান । বর্তমানে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান পদে আসীন আছেন.  মুরাভারাপপু  ভেঙ্কাইয়া নাইডু ।


15.  লোকসভার অধ্যক্ষ এবং উপাধ্যক্ষ -এর  অনুপস্থিতিতে ছয়জন সদস্যের প্যানেল এর মধ্য থেকে একজন লোক সভায় সভাপতিত্ব করেন । সংবিধানের 108 নং ধারা অনুযায়ী বলা হয়েছে কোনো বিল পাস কে কেন্দ্র করে সংসদের উভয় পক্ষের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিলে রাষ্ট্রপতি অধিবেশন আহ্বান করতে পারেন।

16.  সংবিধানের 55 নং ধারা অনুযায়ী ভারতের রাষ্ট্রপতি সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ভোটাধিকারের ভিত্তিতে নির্বাচিত হন ।  সংবিধানের 72 নং ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি দণ্ডাজ্ঞা প্রাপ্ত ব্যক্তির শাস্তি  লাঘব  করতে পারেন করতে পারেন । এমনকি প্রাণদণ্ড পর্যন্ত স্থগিত রাখতে পারেন 

17.  সংবিধানের 75  নং ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী কে নিয়োগ করে থাকেন । ভারতের সংবিধানের প্রথম তপশিলিতে  1 থেকে 4 নং ধারায় কেন্দ্র এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গুলো সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে । সংবিধানের 1 নং ধারায় ভারতকে রাজ্যসমূহের ইউনিয়ন (Union of States) বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে । 

18. পার্লামেন্টের সদস্যদের প্রশ্ন করার জন্য যে নির্দিষ্ট সময় দেওয়া হয়ে থাকে তাকে বলে প্রশ্নোত্তর পর্ব (Question Hour) ।  লাভজনক পদ বিতর্কে যৌথ সংসদীয় কমিটি লোকসভা থেকে 10 জন এবং রাজ্যসভার থেকে 5 জন সদস্য নিয়ে গঠিত হয় ।

19.  ভারতের সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার সদস্য হতে গেলে  প্রার্থীকে কমপক্ষে 30 বছর বয়স হতে হয় ।   রাজ্যসভা হলো একটি স্থায়ী কক্ষ ।  এই  কক্ষ  কখনোই ভেঙে দেওয়া যায়না ।  

         ভারতবর্ষের পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষ হলো রাজ্যসভা এবং নিম্নকক্ষ লোকসভা।  লোকসভার সর্বোচ্চ সদস্য সংখ্যা হতে পারে 552 , বর্তমানে লোকসভার মোট 545 জন সদস্য আছেন ।

20.   দলত্যাগ বিরোধী  52 তম সংশোধনী আইন পাশ হয়েছিল 1985 সালে । তখন ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন রাজীব গান্ধী ।    1973 সালে 31 তম সংশোধনী আইন অনুযায়ী সংসদ সদস্য সংখ্যা 525 থেকে বাড়িয়ে 545 করা হয়েছে ।  উল্লেখ্য এই সময়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নবগঠিত রাজ্য গুলোর জন্যই মূলত  20  টি আসন বানানো হয়েছিল ।


Indian polity   সম্পর্কিত কিছু আলোচনা  (পর্ব  ১ ) দেখতে এখানে  click  করুন।

Indian polity   সম্পর্কিত কিছু আলোচনা  (পর্ব  ৩ ) দেখতে এখানে  click  করুন ।

নিয়মিত   updates  পেতে এই   facebook  Group - এর  সঙ্গে যুক্ত থাকুন।  

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.