Ad-1

if( aicp_can_see_ads() ) {

Indian polity সম্পর্কিত কিছু আলোচনা (পর্ব ১)



আজ আমরা WBCS MAIN (2016) এ  আসা Indian Polity এর ওপর  কিছু প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করব ।

1. Certiorari শব্দটি একটি ল্যাটিন শব্দ , এর বাংলা  অর্থ হল উ ৎপ্রেষণ ।এই লেখ জারির মাধ্যমে উচ্চতর আদালত নিম্নতর আদালত থেকে  কেস গুলো নিজের হাতে তুলে নেয়।

2. ভারতের সংবিধানের দ্বিতীয় অধ্যায় 12 থেকে 35 নং ধারায় উল্লিখিত মৌলিক অধিকার কখনও চিরস্থায়ী  নয় । ভারতের সংসদ প্রয়োজন মনে করলে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার গুলো কে সংকোচন অথবা রদ করতে পারে। উল্লেখ্য, জাতীয় জরুরি অবস্থার সময় সংবিধানের 20 এবং 21 নং ধারায় উল্লিখিত মৌলিক অধিকারগুলো ব্যতিরেকে সমস্ত মৌলিক অধিকার বাতিল করে দেওয়া যায় । 

3. ভারতের সংবিধানের 65 তম সংশোধনী অনুযায়ী সংবিধানে 338 নং ধারাটি সংশোধন করা হয়েছিল |এই সংশোধনী অনুযায়ী তপশিলি জাতি এবং তপশিলি উপজাতি দের জন্য বিশেষ কমিশন স্থাপন করা হয়েছিল | উল্লেখ্য 65 তম সংশোধনী  বলবৎ হয়েছিল  1990 সালের 12 ই মার্চ থেকে ।

4. ভারতের সংবিধানের 24 তম সংশোধনী হয়েছিল 1971 সালের 5 নভেম্বর । এই সংশোধনীর মাধ্যমে মৌলিক অধিকারগুলো সংশোধন করার ক্ষেত্রে সংবিধানের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছিল ।

5.   ভারতের সংবিধানের প্রথম সংশোধনী টি হয়েছিল 1951 সালে। এই সংশোধনীর মাধ্যমে জমিদারি প্রথার (Zamindari System) বিলোপ সাধন করা হয়েছিল নাগরিকদের মধ্যে সামাজিক অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সমতা প্রতিষ্ঠা করার জন্য ।

6. ভারতের সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী (1954) অনুযায়ী নাগরিকগণ যাতে তাদের সম্পত্তি ভোগ করতে পারে তার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে ।ভারতের সংবিধানের 17 তম সংশোধনী হয়েছিল 1964 সালের 20  জুন । এই সংশোধনীর মাধ্যমে স্থাবর সম্পত্তি এবং জমি অধিগ্রহণের অধিকার স্বীকৃত হয়েছিল ।

7. ভারতের নাগরিকদের মৌলিক অধিকারগুলো ক্ষুন্ন হলে সংবিধানের 32 ও 226 নং ধারা অনুযায়ী তারা যথাক্রমে সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের আপিল করতে পারে ।  সাংবিধানিক  প্রতিবিধানের অধিকার বলতে বোঝায় নাগরিকদের মৌলিক অধিকার গুলো কে বলবৎ করার জন্য এই উচ্চতর আদালতে আপিল করা ।

8. ভারতের সংবিধানের 28 তম সংশোধনীর (1972)মাধ্যমে সংবিধানের 312 নম্বর ধারাটি যুক্ত করা হয়েছিল এবং সংবিধান থেকে 314 নম্বর ধারাটি বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল । 

9. রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সংসদের উভয় কক্ষের সদস্য এবং রাজ্য বিধানসভা  গুলির  সদস্য একই সংখ্যক ভোট প্রদান করে থাকে ।

   Prohibition  শব্দটির অর্থ হলো  "To forbid" বা নিষেধ করা এই লেখ জারি করার মাধ্যমে উচ্চতর আদালত গুলো নিম্নতর আদালত গুলিকে তার নিজের সীমার মধ্যে কাজ করতে নির্দেশ দেয় ।

10. ভারতের সংবিধানের 74 নং ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির পক্ষে মন্ত্রিপরিষদের পরামর্শ গ্রহণ করা বাধ্যতামূলক । রাষ্ট্রপতি যদি মনে করেন যে কোন রাজ্যে শাসনতান্ত্রিক ব্যবস্থা একেবারেই ভেঙে পড়েছে তাহলে তিনি সংবিধানের 356 নং ধারা অনুযায়ী জরুরি অবস্থা জারি করতে পারেন  । একটি জরুরি অবস্থার ঘোষণা কে সংসদের অনুমোদন লাভ করার জন্য এক মাসের মধ্যেই সংসদে পেশ করতে হয় । 

11. ভারতের সংবিধান কার্যকর হবার আগে ভারত শাসন আইন 1935 ছিল মুখ্য আইন । "Order of  Business Committee"  গড়ে উঠেছিল ডক্টর কে এম মুন্সীর সভাপতিত্বে । স্টিয়ারিং কমিটির সভাপতি ছিলেন ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ প্রসঙ্গত এমন একটি বিখ্যাত বই হল  I follow the Mahatma.

12. সংবিধানের 39 নং ধারায় বলা হয়েছে  সম্পদ এবং উৎপাদনের উপকরণ যাতে মুষ্টিমেয় জনগণের হাতে না থাকে রাষ্ট্র সেদিকে নজর রাখবে উল্লেখ্য সম্প্রতি প্রকাশিত  "World Inequality Report" অনুযায়ী সমগ্র বিশ্বের মধ্যে ভারতের আয় বৈষম্য সবচেয়ে বেশি । ভারতে বর্তমানে এক শতাংশ মানুষের কাছে  ৭৩ শতাংশ সম্পদ রয়েছে। 

13. আসাম পুনর্গঠন আইন 1969 অনুযায়ী আসাম ভেঙে মেঘালয় রাজ্য টি তৈরি হয়েছিল । উল্লেখ্য মেঘালয়ের রাজধানী হল শিলং এবং বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী হলেন কনরাদ সাংমা (Conrad Sangma)।  1971 সালের উত্তর-পূর্বাঞ্চল পুনর্গঠন আইন অনুযায়ী মিজোরাম এবং অরুণাচল প্রদেশকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল । প্রসঙ্গত মিজোরামের রাজধানী হল  আইজল ও   অরুণাচল প্রদেশের রাজধানী ইটানগর ;  2000 সালের 15 ই নভেম্বর বিহার রাজ্য ভেঙে ঝাড়খন্ড ভারতের ২৮ তম রাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে । নবগঠিত ঝাড়খন্ডের রাজধানী রাঁচি ।

14. ভারতের সংবিধানের 19 নং ধারায় ছয় প্রকার স্বাধীনতার উল্লেখ আছে ,যদিও মূল সংবিধানের 19 নং ধারায় সাত প্রকার  স্বাধীনতার অধিকার উল্লেখ ছিল। তাই এই 19 নং অনুচ্ছেদকে বলা হতো  সপ্ত   স্বাধীনতার অধিকার-এর অনুচ্ছেদ । ভারতের সংবিধানের 29 থেকে 30 নং ধারায় শিক্ষা এবং সংস্কৃতির অধিকারগুলো প্রদান করা হয়েছে । সংখ্যালঘুরা যাতে তাদের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র সংরক্ষণ করতে পারে ।ভারতের সংবিধানে শিক্ষা এবং সংস্কৃতির অধিকার নির্দেশ করে সংখ্যালঘু শ্রেণী যাতে নিজের পছন্দমত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে পারে। 

15. গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে কাজ করে গ্রামসভা ও গ্রাম সংসদ গ্রাম সভার বার্ষিক অধিবেশন বসে প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসে । এই সভা ডাকার জন্য 7 দিন আগে নোটিশ দিতে হয় । সাংবিধানিকভাবে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা রাষ্ট্রপতি ইচ্ছা অনুসারে স্বপদে বহাল থাকবেন । রাষ্ট্রপতি ইচ্ছা করলে তাদের বরখাস্ত করতে পারেন।  সংবিধানের দশম তপশীলে  বিষয়টি আলোচিত হয়েছে এবং একাদশ  তপশীলে পঞ্চায়েতে বিষয়টি আলোচনা করা হয়েছে । ভারতের সংবিধানের  উনবিংশ অধ্যায় -এ  (part-XIX ) রাষ্ট্রপতি এবং রাজ্যপালের ফৌজদারি  ক্ষমতা সমূহের বিবরণ দেওয়া হয়েছে ।

16. " States Reorganization Act,1956 "  দ্বারা   অন্ধ্রপ্রদেশ ও হায়দ্রাবাদ রাজ্য কে যোগ করে অন্ধপ্রদেশ তৈরি হয়েছিল উল্লেখ্য এই আইনের ফলশ্রুতি স্বরূপ 1956 সালের পয়লা নভেম্বর ভারতবর্ষে গড়ে ওঠে 14 টি রাজ্য ও ছটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ।

17. সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রাষ্ট্রপতির সম্মতি  লাভ করলে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে কার্যগ্রহণ করতে পারেন । 

      ভারতের সংবিধানের অষ্টম সংশোধনীর (1960) মাধ্যমে লোকসভা এবং রাজ্য বিধানসভা গুলিতে তপশিলি জাতি উপজাতি এবং ভারতীয়দের জন্য আসন সংরক্ষণ এর সময়সীমা বাড়ানো হয়েছিল ।সংবিধানের  ২৩-তম সংশোধনীর (1970)মাধ্যমে লোকসভা, রাজ্য বিধানসভা গুলি এবং নাগাল্যান্ডে তপশিলি উপজাতি দের জন্য সুরক্ষা  রদ করা হয়েছিল। ৪৫ তম সংশোধনীর (1980) মাধ্যমে ভারতের সংসদ এবং রাজ্য বিধানসভার তপশিলি জাতি ,উপজাতি এবং ইঙ্গ ভারতীয়দের জন্য আসন সংরক্ষণ এর মেয়াদ আরও 10 বছর বাড়ানো হয়েছিল ।

18. 1971 সালের একাদশতম আদমশুমারি অনুযায়ী লোকসভার সর্বোচ্চ আসন সংখ্যা 552 করা হয় । প্রসঙ্গত 2011 সালে পঞ্চদশ আদমশুমারি অনুষ্ঠিত হয় ।

      বিনোদন কর টি (Entertainment Tax ) একমাত্র রাজ্য সরকার গ্রহণ করে থাকে । ভারতের রাজ্য গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি গ্রহণ কর (60% ) আছে উত্তরপ্রদেশে । ভারতের সংবিধানের বিংশ   অধ্যায়-এ  সংবিধান সংশোধন সংক্রান্ত কেবলমাত্র একটি ধারা (article 368) আছে । সংবিধান সংশোধন সংক্রান্ত পদ্ধতিটি দক্ষিণ আফ্রিকার সংবিধান থেকে গ্রহণ করা হয়েছিল । 

19. ভারতের সংবিধানের 165 নং ধারায় রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল-এর  নিয়োগ পদ্ধতি ,কর্তব্য ও কার্যকাল সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে ।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যায়  ভারতে কোন স্বতন্ত্র রাজ্যের অস্তিত্ব নেই বলে রাজ্যসভার প্রতিটি রাজ্য থেকে ভিন্ন ভিন্ন প্রার্থী মনোনীত হয়ে থাকে।  সংবিধানের  8 নং ধারা অনুসারে নির্দিষ্ট সংখ্যক প্রবাসী ভারতীয়দের নাগরিকত্ব লাভের বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে । ভারতের প্রধানমন্ত্রী তাঁর নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিপরিষদকে স্ব -ইচছায়  ভেঙে দিতে পারেন না ।

20.  ভারতের সংবিধানের 368 নং ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি আর্থিক জরুরি অবস্থা জারি করতে পারেন, তবে আর্থিক জরুরি অবস্থা চলাকালীন সময়ে তিনি মৌলিক অধিকার গুলি কে নিষিদ্ধ করে দিতে পারেন না।  উল্লেখ্য ভারতবর্ষে এ পর্যন্ত একবারও আর্থিক জরুরি অবস্থা জারি করা হয়নি ।

21.  রাষ্ট্রপতি যখন প্রধানমন্ত্রীকে শপথ গ্রহণ করান , তখন থেকেই মন্ত্রী পরিষদের গঠন শুরু হয়ে যায়।
    ভারতবর্ষের উপরাষ্ট্রপতি সর্বোচ্চ ছয় মাসের  জন্য রাষ্ট্রপতি পদের দায়িত্বভার গ্রহণ করতে পারেন । এই ছয় মাসের মধ্যে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করে নিতে হয় । সংসদে যে  সময়ে  সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো উঠে আসে সেই সময়কে Zero Hour  বলে ।

22.  অঙ্গ রাজ্যের রাজ্যপাল কোন রাজ্যের বিধান পরিষদে  ১/৬ অংশ সদস্য মনোনীত করতে পারেন ।সংবিধানের 243-F ধারায় পঞ্চায়েত সদস্যদের অযোগ্যতার বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে । ভারতের জাতীয় পতাকার নকশা কে গৃহীত হয়েছিল 1947 সালের 22 শে জুলাই । তাই প্রত্যেক বছর 22 শে জুলাই  তারিখে জাতীয় পতাকা দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে । উল্লেখ্য ভারতের জাতীয় পতাকার নকশা কে  অঙ্কন করেছিলেন পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়া নামক জনৈক ব্যক্তি ।

23..কেশবানন্দ ভারতী বনাম কেরল রাজ্য সরকার  (1973)মামলায় সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল যে ভারতের সংসদ সংবিধান  এর মৌলিক কাঠামোর পরিবর্তন করতে পারবে না।পরবর্তীকালে ইন্দিরা গান্ধী বনাম রাজনারায়ণ মামলা এবং মিনার্ভা মিলস (1980) মামলাতেও সুপ্রিম কোর্ট এই প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা প্রদান করেছিল । 

24. ভারতের সংসদ এবং রাজ্য আইনসভা গুলির যে কোন সদস্য রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হবার সঙ্গে সঙ্গেই তাকে তার পূর্বতন  লাভজনক পদ থেকে পদত্যাগ করতে হয় ।দৃষ্টান্ত 2017 সালের বিহারের প্রাক্তন রাজ্যপাল রামনাথ কোবিন্দ রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিহারের রাজ্যপাল এর পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন ।

25.  ভারতের সংবিধানের 46 নং ধারা অনুসারে সমাজের দুর্বলতার শ্রেণীর বিশেষত তপশিলি জাতিউপজাতিদের অর্থনৈতিক ও শিক্ষাগত ক্ষেত্রে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা প্রদানের কথা রাষ্ট্র ঘোষণা করেছে। ভারতের সংবিধানের  89 তম সংশোধনীর (2003) মাধ্যমে 338 নং ধারার অধীনে তপশিলি জাতিদের জন্য বিশেষ কমিশন গঠন করা হয়েছে ।

Indian polity   সম্পর্কিত কিছু আলোচনা  (পর্ব  ২ ) দেখতে এখানে  click  করুন।

Indian polity   সম্পর্কিত কিছু আলোচনা  (পর্ব  ৩ ) দেখতে এখানে  click  করুন ।

আমাদের সাথে facebook page এ যুক্ত থাকতে এই লিঙ্কে click  করুন।


Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.