পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মচারী নিয়োগের পরীক্ষায় হল ওয়েস্ট বেঙ্গল সিভিল সার্ভিস ( এক্সিকিউটিভ ) । পরীক্ষাটি চারটি গ্রুপের (A,B,C,D ) অফিসার নিয়োগের জন্য হয় ,B গ্রুপটি কেবল মাত্র পুলিশ বিভাগের জন্য ।পরীক্ষাটি নেয় ওয়েস্ট বেঙ্গল পাবলিক সার্ভিস কমিসন ।
.
ফর্ম ফিলাপের সময় পরীক্ষার্থিদের কাছে দুটি options থাকে যে ," তুমি কি চারটি গ্রুপের জন্য পরীক্ষা দিতে চাও না, নাকি কেবল শুধুমাত্র C, D -group এর জন্য পরীক্ষা দিতে চাও ?"
A , B গ্রুপের জন্য কেউ যদি পরীক্ষা দিতে চায় তাহলে তাকে মেনে অতিরিক্ত একটি অপসনাল বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হয় যার দুটি পেপার থাকে ২০০+২০০ মোট ৪০০ নম্বরের । ৩+৩ মোট ৬ ঘন্টার লিখিত পরীক্ষা ।
WBCS পরীক্ষাটি নেওয়া হয় তিনটি ধাপে -প্রিলিমিনারি , মেন এবং ইন্টারভিউ ।
পরীক্ষাটি দেবার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা যেকোন বিষয়ে স্নাতক হলেই হবে ।( অনার্স অথবা পাস কোর্সে )। বয়স হতে হবে ২১ -৩৬ (গ্রুপ Bর ক্ষেত্রে ন্যূনতম বয়স ২০ ,D -গ্রূপ এর জন্য সর্বোচ্চ বয়স ৩৯ )।
প্রথমে আসি প্রিলিমিনারি পরীক্ষাতে ,
প্রিলিমিনারি পরীক্ষাটি সাধারণত জানুয়ারী বা ফেবরুয়ারী মাসে হয় ( আনুমানিক )। ফর্ম বেরোয় নভেম্বর মাস নাগাদ( আনুমানিক ) । পরীক্ষাটি একটি পেপারের উপর হয় সেটি জেনারেল স্টাডিস । ২০০ নম্বরের পরীক্ষা সময় আড়াই ঘন্টা । নেগেটিভ মার্কিং থাকে 1/3 ।
জেনারেল স্টাডিস পেপারটি ৮টি বিষয়ের উপর MCQ পরীক্ষা হয় ,প্রতিটি বিষয়ের উপর এক নম্বর করে ২৫ টি প্রশ্ন থাকে । মোট ৮ গুণ ২৫ = ২০০ নম্বরের ২০০টি প্রশ্ন। (এখানে মোটামুটি ১২০ র কাছাকাছি তুলতে পারলেই মেন পরীক্ষা বসার অনুমতি মেলে ।)
এখন, জেনারেল স্টাডিসের এই ৮টি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যাক।
এবার আসি মেন পরীক্ষার ক্ষেত্রে । Main Exam হয়ে থাকে July -August মাসে ( আনুমানিক )।
অপসনাল + কম্পালসারি দুটি প্রধান ভাগ থাকে । যারা চারটি গ্রুপের জন্য পরীক্ষা দেবে তাদের অপসনাল আর কম্পালসারি দুটো বিভাগেই পরীক্ষা দিতে হবে । আর যারা কেবলমাত্র C ও D গ্রুপের জন্য পরীক্ষা দেবে তাদের কেবলমাত্র কম্পালসারি পরীক্ষা দিলেই চলবে ।
কম্পালসারি বিভাগটি ৬টি পেপারের ওপর হয় ।
বিষয়গুলি হল,
এবার আসি শেষ ধাপে - Interview /Personality Test.
A গ্রুপ এবং B গ্রুপ এর জন্য ২০০ নম্বরের ইন্টারভিউ হয় । গ্রুপ C র জন্য ১৫০ নম্বরের আর গ্রুপ D র জন্য ১০০ নম্বরের ইন্টারভিউ হয় ।
Different posts of Group A, B, C & D
Group A :
1. West Bengal Civil Service (Executive),
2.West Bengal Commercial Tax Service ,
3.West Bengal Agricultural Income tax Service,
4.West Bengal Excise Service,
5.West Bengal Co-operative Service,
6.West Bengal Co-operative Service,
7.West Bengal Food and Supplies Service,
8.West Bengal Employment Service [Except the post of
Employment Officer (Technical)],
9.West Bengal Registration and Stamp Revenue Service.
Group B : West Bengal Police Service
Group C:
1.Joint Block Development Officer,
2.Deputy Assistant Director of Consumer Affairs and Fair Business Practices,
3.West Bengal Junior Social Welfare Service,
4.West Bengal Subordinate Land Revenue Service, Grade-I, 5.Assistant Commercial Tax Officer,
6.Assistant Canal Revenue Officer (Irrigation),
7.Chief Controller of Correctional Services.
Group D :
1.Inspector of Co-operative Societies,
2.Panchayat Development Officer under the Panchayat and
Rural Development Department
Rural Development Department
3.Rehabilitation Officer under the Refugee Relief and Rehabilitation Department.
ইংরেজি : রোজ আধ ঘন্টা সময় বার করো। ২ টো Phrasal Verb, ২ টো One Word Substitution, ১ টা Synonym, ১ টা Antonym মোট এই ৬ টা জিনিস তৈরী করতে থাকো। তবে বই ধরে শুরু থেকে মুখস্ত করতে যাবে না। শুধু Previous Years -এ যেগুলো এসেছে সেগুলো তৈরী করতে থাকো। সঙ্গে রোজ Prepositions Practice করো অন্তত ৫ টা। ব্যাস। ইংরেজিতে তোমার কাজ Complete। বাকি অংশটুকু শেষ ৬০ দিনের Plan -এ Easily হয়ে যাবে।
ইতিহাস : কম বেশি ৫০ টা প্রশ্ন থাকে। যার মধ্যে ৩৫ টার মতো সোজা Previous Years থেকে তুলে দেয়। এটা আগে সেরে রাখুন। এটা সারা হলে, ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলো পড়ে নিলেই হবে। আমি ইতিমধ্যেই যেসব অধ্যায় থেকে প্রশ্ন পড়ে, সেটা এই Page -এ Post করে রেখেছি। দেখে নিতে পারেন। এই অংশে ৪৫+ তোলা Just কোনো ব্যাপার না। তবে রোজ একটা ঘন্টা দিতেই হবে।
ভূগোল : তুমি যদি শুধু পশ্চিমবঙ্গের ভূগোলটুকু গুলে খেয়ে যাও , তাহলেই ২৫ -এ ১২টা প্রশ্ন পাবে। ভারত আর পশ্চিমবঙ্গের জনবিন্যাস / Demography বা Census থেকে প্রতি বছর ৪-৫ টা প্রশ্ন থাকেই। এটা পড়ে নিতে ৪০ মিনিট লাগবে। এখানেও আগে বিগত বছরের প্রশ্নগুলো তৈরী করে নাও ।
সংবিধান ও অর্থনীতি : Preliminary -র জন্য শুধু ১০ বছরের প্রশ্ন দেখলেই চলে। তবে এর সঙ্গে অতিরিক্ত হিসেবে পড়ে রাখতে হবে, অর্থনীতির বর্তমান হাল হকিকত। কারণ অর্থনীতিতে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা এবং অল্প কিন্তু তাত্ত্বিক প্রশ্ন ছাড়া অধিকাংশ প্রশ্নই হয় Current Economic Affairs Based। তাই এটুকু বুদ্ধি করে তৈরী করে রাখতে পারলেই সংবিধান এবং অর্থনীতিতে ২৫ -এ সহজেই ১৭-১৮ উঠে যায়।
এই Post -এ আমি চেষ্টা করলাম সবচেয়ে Scoring Subject গুলোকে সহজে রপ্ত করার কিছু পদ্ধতি Explore করার। যদিও GI এবং Current Affairs অংশ দুটোও বেশ Scoring। তবে যেহেতু সেগুলো কেবলমাত্র Practice নির্ভর তাই ওই দুটো বিষয় নিয়ে অন্যদিন আলোচনা করা যাবে।
এখানে এই সহজ সরল পদ্ধতিগুলো আলোচনা করার অন্যতম আরেকটা কারণ হল, শুধু তো Preliminary নিয়ে ভাবলে চলবে না। Preliminary যত তাড়াতাড়ি রপ্ত করে নেওয়া যাবে, তত বাকি সময়টা Mains -এর প্রস্তুতির জন্যও দেওয়া যাবে। আর সেটা না করা গেলে Prelims -এর পর সীমিত অল্প মাসে Mains -এর Preparation including Optional Paper is just after impossible। তাই দুটোকেই চালিয়ে যেতে হবে যার জন্য অল্প সময়ে Prelims তৈরী করে রাখা আবশ্যক। অগত্যা Tricky Method apply করা ছাড়া উপায় নেই।
Read more : TOP BOOKS FOR WBCS MAINS EXAMINATION
WBCS Preparation Strategy নিয়ে কিছু কথা ঃ
একটা কথা বোঝার চেষ্টা করো। Facebook কিম্বা Internet -এর অন্যান্য Source থেকে WBCS -এ সফল প্রার্থীরা নিজেদের মতো Strategy Share করে থাকেন, যা তারা নিজেরা অনুসরণ করেছে বা অনুসরণ করা ভালো বলে বিবেচনা করে। নিঃসন্দেহে এতে বহু প্রার্থী আলো পায়। একদম প্রান্তিক অঞ্চলের প্রার্থীরাও সাহস পায় অনেক, ভরসা পান এগিয়ে যাবার। এই অব্দি ঠিক আছে। কিন্তু গন্ডগোল বাঁধে পরবর্তী ক্ষেত্রে। WBCS এর মতো একটি Multi Dimensional বা বিবিধ অভিমুখি পরীক্ষায় শুধু পরিকল্পনা বা কৌশল দিয়ে চলে না। সেই পরিকল্পনা বা কৌশলকে দিনের পর দিন নাছোড়বান্দার মতো লেগে থেকে চালিয়ে যাওয়াটাই সাফল্য আর ব্যর্থতার মূল পার্থক্যটা গড়ে দেয়। আমাদের Brain খুব অল্প সময়ের জন্য Motivation বা Inspiration কে ধরে রাখতে পারে। একটা Success Story পড়ে যত তাড়াতাড়ি আমরা Charged Up হই, একদিন পরই আমরা বুঝতে পারি, সেই Push টা আর আসছে না ভেতর থেকে। অর্থাৎ দিনের শেষে Success Story বা Preparation Strategy পড়ে Inspired হবার পরে, পরের দিন থেকে সেটা Actualise করতে আমরা Just পারি না, বা পারলেও দু-এক দিনের মধ্যেই উৎসাহ হারিয়ে ফেলি। আমি অবশ্য এইক্ষেত্রে Normal মানুষদের কথাই বলছি, Super Human -রা এই দলে পড়েন না। তাহলে প্রশ্ন হলো, কি করলে উৎসাহ না হারিয়ে দীর্ঘদিন লেগে থাকা যাবে ! যদি তুমি একদম Sure হও যে WBCS -ই তোমাকে পেতে হবে (যদিও নিম্ন লিখিত পন্থাগুলো যেকোনো পরীক্ষায় সফল হবার Catalyst হিসেবে কাজে লাগানো সম্ভব) তাহলে নীচের কথাগুলো একটু মন দিয়ে পড়তে পারো।
১. Self Conditioning : নিজেকে একটা Strict Training Camp -এর dedicated সদস্য ভাবতে শেখ। সে তুমি বাড়িতেই থাকো বা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডাই দাও , প্রতি মূহুর্তে নিজেকে মনে মনে বলতে থাকো যে সময় কমে আসছে। এর ফলে WBCS পরীক্ষার জন্য একটা Self Conditioning Atmosphere তৈরী করতে পারবে নিজের ভেতর।
২. ঘুমকেও সমান গুরুত্ব দাও : দ্যাখো ভাই, অনেকে Success Story পড়ে রাতারাতি Inspired হয়ে গিয়ে দিন রাত জেগে পড়তে থাকে। আর একদিন পরেই তারা ক্লান্ত হয়ে পড়ে। মনে রেখ - slow and steady wins the race. আগে শরীর, তারপর অন্য কিছু। ঘুম তাড়িয়ে জগত জয় করবে ভাবলে তুমি মূর্খের স্বর্গে বাস করছ। কারণ তোমার অপ্রাসঙ্গিক জেদ তোমাকে হয়তো জাগিয়ে রাখবে ঠিকই, কিন্তু মাথা কাজ করা বন্ধ করে দেবে। ফলে রাত জাগা ভিন্ন এক লাইনও মাথায় ঢুকবে না। তাই আচ্ছা করে ঘুমান। এবং এমন কোনো নিয়ম নেই যে আপনাকে ৭ ঘন্টা বা ১০ ঘন্টা ঘুমাতে হবে। Basic idea হল, যতক্ষণ ঘুমালে আপনার নিজেকে Fresh লাগবে, তুমি ততক্ষণই ঘুমাও। এবং এই ঘুম একটুও কমাবে না Preparation -এর দোহাই দিয়ে। Brain Fresh থাকলে পড়া সহজে আত্মস্থ করা সম্ভব।
৩. Realistic Plan : একদম Over Stressed হয়ে পড়বে না। চেষ্টা কর তোমার সারাদিনের কাজের মাঝে অন্তত ৬ টা ঘন্টা যেন পড়তে পারো। এই সময়টা ব্যক্তি ভেদে কিছু কম বা বেশী হতে পারে। সেটা অবশ্যই তোমার সুবিধা অনুযায়ী তুমি সাজিয়ে নেবে। পড়ছ বলে আড্ডা দেওয়া, ঘুরতে যাওয়া, গান শোনা কমানোর চেষ্টাও করবে না। শুধু মনে মনে নিজের লক্ষ্যটা বারবার ভাবো। কিন্তু বাইরের পৃথিবীর কাছে একদম Normal থাকো। কারণ আমাদের সবই দরকার। হঠাৎ করে জীবনের রপ্ত অভ্যাসগুলোর থেকে সরে এসে নিজের পাঠ্যমতি বানানো কিন্তু অসম্ভব একটি কাজ।
৪. Smart Reading : একটা কথা বুঝে নাও। হাতে গোনা Standard বই (Book List আগের কোনো একটা Post -এ দেওয়া আছে, তবে তুমি নিজের সুবিধা মতোই বই বাছবে) ছাড়া সাফল্য পাওয়া মুশকিল। আর চোখ বন্ধ করে সব পড়ার দরকার নেই। তোমার মূল লক্ষ্য হল চাকরি পাওয়া, গবেষণা করা নয়। তাই একটা বিগত বছরের প্রশ্নের Set জোগাড় করো। প্রতিটা বিষয়ের ঠিক কোন অংশ থেকে প্রশ্ন এসেছে Note করো, আর বই থেকে ঠিক এই অংশগুলোই পড়ে ফেলো । এই অংশ গুলোই বারবার Revise দাও। That's it.
৫. কোন মতেই Distracted হবে না : এটাই হলো কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। আমি Mobile, Internet এসব নিয়ে বলছি না। কারণ এখানে সবাই adult, সবাই জানে কিভাবে এই addiction গুলো সরানো যাবে। আমি এখানে বলছি একটা Practical Distraction -এর কথা। সেটা হল, MCQ। অনেক রথি মহারথিরা অনেক কঠিন এবং অবোধ্য MCQ Post করেন এবং Solve করেন। এইসব দেখে আমাদের মনে হতে পারে, আমরা তো এদের তুলনায় নেহাত তুচ্ছ। আর এভাবেই আমরা Demotivated হয়ে পড়ি। হতাশা ঘিরে ধরে আস্তে আস্তে। কিন্তু বন্ধু , গল্প এটা কিন্তু নয়। পরীক্ষার প্রশ্নে এসব প্রশ্ন আসে মাত্র ১% থেকে ২%। বাকি ৯৮% প্রশ্নই আসে একদম Syllabus -এর ভিত্তিতে এবং পরিচিত বলয়ের মধ্যেই। তাই Please এসব অতিপ্রাকৃতিক অবোধ্য প্রশ্ন দেখে নিজের প্রস্তুতিকে মাপার ভুল একদম করবে না। তুমি যদি সাদামাটা Syllabus ধরে নিয়মিত পড়াশোনা করে যাও , তোমার চাকরি পাওয়া কেউ আটকাতে পারবে না।
WBCS পরীক্ষায় বাংলার প্রস্তুতি কিভাবে নিতে হবে:
দেখুন, বিসিএস বাংলা মেনে ২০০ তে আপনাকে চিঠি, সম্পাদকীয়, একটা প্যাসেজ থেকে প্রশ্নোত্তর, সারাংশ, বঙ্গানুবাদ লিখতে হয়। পাঁচটা অংশে চল্লিশ করে ২০০। এখন প্রথমেই কিছু টেকনিক্যাল পার্ট শিখে নিতে আপনি তুলসী, ওরিয়েন্টাল বা পারুল প্রকাশনীর বিসিএস মেনের বইটা কিনতে পারেন, এতে আপনার দ্বিমুখী লাভ------ আপনি বাংলা লেখাও শিখলেন, বাকিগুলোর জন্যও একটা বই হল। তবে আপনি ইচ্ছা করলে নবম দশম শ্রেণীর বিভিন্ন ব্যাকরণ বই থেকেও শিখে নিতে পারেন।
গুরুত্বপূর্ণ এই অংশটা হয়ে গেলে তোমার উচিত লেখার গুণগত মানোন্নয়নে মনোনিবেশ করা। সেজন্য তুমি যে আনন্দবাজার পত্রিকা পড়বে, এক ও একমাত্র ওটাই পড়বে; ওটার বিরুদ্ধে তোমার হাজার অভিযোগ থাকতে পারে কিন্তু ওটাই এখনও বাংলার সবচেয়ে কম বাজে পত্রিকা। ওটার চতুর্থ পাতার সম্পাদকীয় পাতাটা, তোমার মতামতের তীব্র বিরোধ হলেও, পড়তে হবে। ভাল ভাষা শিখতে হলে, এটা দরকার। এছাড়া তুমি দেশ, এই সময়, বর্তমান, খেলা সব কিছু পড়তে পারো --- স্রেফ তোমার লেখনী ধারালো করার জন্য।
জয়দেবের গীতগোবিন্দ, কালিদাসের মেঘদূত, বঙ্কিমের কপালকুণ্ডলা, সুনীলের প্রথম আলো, এসব যদি আপনার পড়ার ইচ্ছা না থাকে, পড়বেন না; কেউ আপনার কাছ থেকে সাহিত্য চাইছে না; বরং দিনের বিভিন্ন সময় নিজেকে মোবাইলের চ্যাটে ব্যস্ত না রেখে, ওয়েব ম্যাগাজিন গুলো পড়ুন না; রসেবশে গুরুচণ্ডালী বা এই জাতীয় গ্রুপে যে সব লেখালেখি হয় পড়ুন; মতামত দিন, আর জানার ক্ষিদে থাকলে সোশ্যাল মিডিয়াতে লেখালিখি করে এরকম দশ বারো জনকে অনুসরণ করো; দেখবে তোমার পেন কেমন গড়গড়িয়ে চলতে চাইছে।
শেষ ধাপ হল, নিজে লেখা; তোমার টাইমলাইন অফুরন্ত জায়গা দিয়েছে; সেখানে লিখতে শুরু করো । এখন কথা হল কি নিয়ে লিখবে? যেমন ধরো - তোমার প্রতিদিনের জীবনে ঘটে. যাওয়া. কোন বিশেষ. অভিজ্ঞতা । এইরকম বহুবিধ নিয়ে লেখা অভ্যাস করলে প্রথমে ভার্চুয়াল লাইক ও পরে একচুয়াল বিসিএস পাওয়া তোমাকে কেউ ঠেকাতে পারবে না। আশা করি কিছুটা হলেও মুষড়ে পরা ভাবটা তোমাদের কেটে গেছে।
ইংরেজি : রোজ আধ ঘন্টা সময় বার করো। ২ টো Phrasal Verb, ২ টো One Word Substitution, ১ টা Synonym, ১ টা Antonym মোট এই ৬ টা জিনিস তৈরী করতে থাকো। তবে বই ধরে শুরু থেকে মুখস্ত করতে যাবে না। শুধু Previous Years -এ যেগুলো এসেছে সেগুলো তৈরী করতে থাকো। সঙ্গে রোজ Prepositions Practice করো অন্তত ৫ টা। ব্যাস। ইংরেজিতে তোমার কাজ Complete। বাকি অংশটুকু শেষ ৬০ দিনের Plan -এ Easily হয়ে যাবে।
ইতিহাস : কম বেশি ৫০ টা প্রশ্ন থাকে। যার মধ্যে ৩৫ টার মতো সোজা Previous Years থেকে তুলে দেয়। এটা আগে সেরে রাখুন। এটা সারা হলে, ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলো পড়ে নিলেই হবে। আমি ইতিমধ্যেই যেসব অধ্যায় থেকে প্রশ্ন পড়ে, সেটা এই Page -এ Post করে রেখেছি। দেখে নিতে পারেন। এই অংশে ৪৫+ তোলা Just কোনো ব্যাপার না। তবে রোজ একটা ঘন্টা দিতেই হবে।
ভূগোল : তুমি যদি শুধু পশ্চিমবঙ্গের ভূগোলটুকু গুলে খেয়ে যাও , তাহলেই ২৫ -এ ১২টা প্রশ্ন পাবে। ভারত আর পশ্চিমবঙ্গের জনবিন্যাস / Demography বা Census থেকে প্রতি বছর ৪-৫ টা প্রশ্ন থাকেই। এটা পড়ে নিতে ৪০ মিনিট লাগবে। এখানেও আগে বিগত বছরের প্রশ্নগুলো তৈরী করে নাও ।
সংবিধান ও অর্থনীতি : Preliminary -র জন্য শুধু ১০ বছরের প্রশ্ন দেখলেই চলে। তবে এর সঙ্গে অতিরিক্ত হিসেবে পড়ে রাখতে হবে, অর্থনীতির বর্তমান হাল হকিকত। কারণ অর্থনীতিতে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা এবং অল্প কিন্তু তাত্ত্বিক প্রশ্ন ছাড়া অধিকাংশ প্রশ্নই হয় Current Economic Affairs Based। তাই এটুকু বুদ্ধি করে তৈরী করে রাখতে পারলেই সংবিধান এবং অর্থনীতিতে ২৫ -এ সহজেই ১৭-১৮ উঠে যায়।
এই Post -এ আমি চেষ্টা করলাম সবচেয়ে Scoring Subject গুলোকে সহজে রপ্ত করার কিছু পদ্ধতি Explore করার। যদিও GI এবং Current Affairs অংশ দুটোও বেশ Scoring। তবে যেহেতু সেগুলো কেবলমাত্র Practice নির্ভর তাই ওই দুটো বিষয় নিয়ে অন্যদিন আলোচনা করা যাবে।
এখানে এই সহজ সরল পদ্ধতিগুলো আলোচনা করার অন্যতম আরেকটা কারণ হল, শুধু তো Preliminary নিয়ে ভাবলে চলবে না। Preliminary যত তাড়াতাড়ি রপ্ত করে নেওয়া যাবে, তত বাকি সময়টা Mains -এর প্রস্তুতির জন্যও দেওয়া যাবে। আর সেটা না করা গেলে Prelims -এর পর সীমিত অল্প মাসে Mains -এর Preparation including Optional Paper is just after impossible। তাই দুটোকেই চালিয়ে যেতে হবে যার জন্য অল্প সময়ে Prelims তৈরী করে রাখা আবশ্যক। অগত্যা Tricky Method apply করা ছাড়া উপায় নেই।
Read more : TOP BOOKS FOR WBCS MAINS EXAMINATION
WBCS Preparation Strategy নিয়ে কিছু কথা ঃ
একটা কথা বোঝার চেষ্টা করো। Facebook কিম্বা Internet -এর অন্যান্য Source থেকে WBCS -এ সফল প্রার্থীরা নিজেদের মতো Strategy Share করে থাকেন, যা তারা নিজেরা অনুসরণ করেছে বা অনুসরণ করা ভালো বলে বিবেচনা করে। নিঃসন্দেহে এতে বহু প্রার্থী আলো পায়। একদম প্রান্তিক অঞ্চলের প্রার্থীরাও সাহস পায় অনেক, ভরসা পান এগিয়ে যাবার। এই অব্দি ঠিক আছে। কিন্তু গন্ডগোল বাঁধে পরবর্তী ক্ষেত্রে। WBCS এর মতো একটি Multi Dimensional বা বিবিধ অভিমুখি পরীক্ষায় শুধু পরিকল্পনা বা কৌশল দিয়ে চলে না। সেই পরিকল্পনা বা কৌশলকে দিনের পর দিন নাছোড়বান্দার মতো লেগে থেকে চালিয়ে যাওয়াটাই সাফল্য আর ব্যর্থতার মূল পার্থক্যটা গড়ে দেয়। আমাদের Brain খুব অল্প সময়ের জন্য Motivation বা Inspiration কে ধরে রাখতে পারে। একটা Success Story পড়ে যত তাড়াতাড়ি আমরা Charged Up হই, একদিন পরই আমরা বুঝতে পারি, সেই Push টা আর আসছে না ভেতর থেকে। অর্থাৎ দিনের শেষে Success Story বা Preparation Strategy পড়ে Inspired হবার পরে, পরের দিন থেকে সেটা Actualise করতে আমরা Just পারি না, বা পারলেও দু-এক দিনের মধ্যেই উৎসাহ হারিয়ে ফেলি। আমি অবশ্য এইক্ষেত্রে Normal মানুষদের কথাই বলছি, Super Human -রা এই দলে পড়েন না। তাহলে প্রশ্ন হলো, কি করলে উৎসাহ না হারিয়ে দীর্ঘদিন লেগে থাকা যাবে ! যদি তুমি একদম Sure হও যে WBCS -ই তোমাকে পেতে হবে (যদিও নিম্ন লিখিত পন্থাগুলো যেকোনো পরীক্ষায় সফল হবার Catalyst হিসেবে কাজে লাগানো সম্ভব) তাহলে নীচের কথাগুলো একটু মন দিয়ে পড়তে পারো।
১. Self Conditioning : নিজেকে একটা Strict Training Camp -এর dedicated সদস্য ভাবতে শেখ। সে তুমি বাড়িতেই থাকো বা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডাই দাও , প্রতি মূহুর্তে নিজেকে মনে মনে বলতে থাকো যে সময় কমে আসছে। এর ফলে WBCS পরীক্ষার জন্য একটা Self Conditioning Atmosphere তৈরী করতে পারবে নিজের ভেতর।
২. ঘুমকেও সমান গুরুত্ব দাও : দ্যাখো ভাই, অনেকে Success Story পড়ে রাতারাতি Inspired হয়ে গিয়ে দিন রাত জেগে পড়তে থাকে। আর একদিন পরেই তারা ক্লান্ত হয়ে পড়ে। মনে রেখ - slow and steady wins the race. আগে শরীর, তারপর অন্য কিছু। ঘুম তাড়িয়ে জগত জয় করবে ভাবলে তুমি মূর্খের স্বর্গে বাস করছ। কারণ তোমার অপ্রাসঙ্গিক জেদ তোমাকে হয়তো জাগিয়ে রাখবে ঠিকই, কিন্তু মাথা কাজ করা বন্ধ করে দেবে। ফলে রাত জাগা ভিন্ন এক লাইনও মাথায় ঢুকবে না। তাই আচ্ছা করে ঘুমান। এবং এমন কোনো নিয়ম নেই যে আপনাকে ৭ ঘন্টা বা ১০ ঘন্টা ঘুমাতে হবে। Basic idea হল, যতক্ষণ ঘুমালে আপনার নিজেকে Fresh লাগবে, তুমি ততক্ষণই ঘুমাও। এবং এই ঘুম একটুও কমাবে না Preparation -এর দোহাই দিয়ে। Brain Fresh থাকলে পড়া সহজে আত্মস্থ করা সম্ভব।
৩. Realistic Plan : একদম Over Stressed হয়ে পড়বে না। চেষ্টা কর তোমার সারাদিনের কাজের মাঝে অন্তত ৬ টা ঘন্টা যেন পড়তে পারো। এই সময়টা ব্যক্তি ভেদে কিছু কম বা বেশী হতে পারে। সেটা অবশ্যই তোমার সুবিধা অনুযায়ী তুমি সাজিয়ে নেবে। পড়ছ বলে আড্ডা দেওয়া, ঘুরতে যাওয়া, গান শোনা কমানোর চেষ্টাও করবে না। শুধু মনে মনে নিজের লক্ষ্যটা বারবার ভাবো। কিন্তু বাইরের পৃথিবীর কাছে একদম Normal থাকো। কারণ আমাদের সবই দরকার। হঠাৎ করে জীবনের রপ্ত অভ্যাসগুলোর থেকে সরে এসে নিজের পাঠ্যমতি বানানো কিন্তু অসম্ভব একটি কাজ।
৪. Smart Reading : একটা কথা বুঝে নাও। হাতে গোনা Standard বই (Book List আগের কোনো একটা Post -এ দেওয়া আছে, তবে তুমি নিজের সুবিধা মতোই বই বাছবে) ছাড়া সাফল্য পাওয়া মুশকিল। আর চোখ বন্ধ করে সব পড়ার দরকার নেই। তোমার মূল লক্ষ্য হল চাকরি পাওয়া, গবেষণা করা নয়। তাই একটা বিগত বছরের প্রশ্নের Set জোগাড় করো। প্রতিটা বিষয়ের ঠিক কোন অংশ থেকে প্রশ্ন এসেছে Note করো, আর বই থেকে ঠিক এই অংশগুলোই পড়ে ফেলো । এই অংশ গুলোই বারবার Revise দাও। That's it.
৫. কোন মতেই Distracted হবে না : এটাই হলো কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। আমি Mobile, Internet এসব নিয়ে বলছি না। কারণ এখানে সবাই adult, সবাই জানে কিভাবে এই addiction গুলো সরানো যাবে। আমি এখানে বলছি একটা Practical Distraction -এর কথা। সেটা হল, MCQ। অনেক রথি মহারথিরা অনেক কঠিন এবং অবোধ্য MCQ Post করেন এবং Solve করেন। এইসব দেখে আমাদের মনে হতে পারে, আমরা তো এদের তুলনায় নেহাত তুচ্ছ। আর এভাবেই আমরা Demotivated হয়ে পড়ি। হতাশা ঘিরে ধরে আস্তে আস্তে। কিন্তু বন্ধু , গল্প এটা কিন্তু নয়। পরীক্ষার প্রশ্নে এসব প্রশ্ন আসে মাত্র ১% থেকে ২%। বাকি ৯৮% প্রশ্নই আসে একদম Syllabus -এর ভিত্তিতে এবং পরিচিত বলয়ের মধ্যেই। তাই Please এসব অতিপ্রাকৃতিক অবোধ্য প্রশ্ন দেখে নিজের প্রস্তুতিকে মাপার ভুল একদম করবে না। তুমি যদি সাদামাটা Syllabus ধরে নিয়মিত পড়াশোনা করে যাও , তোমার চাকরি পাওয়া কেউ আটকাতে পারবে না।
WBCS পরীক্ষায় বাংলার প্রস্তুতি কিভাবে নিতে হবে:
দেখুন, বিসিএস বাংলা মেনে ২০০ তে আপনাকে চিঠি, সম্পাদকীয়, একটা প্যাসেজ থেকে প্রশ্নোত্তর, সারাংশ, বঙ্গানুবাদ লিখতে হয়। পাঁচটা অংশে চল্লিশ করে ২০০। এখন প্রথমেই কিছু টেকনিক্যাল পার্ট শিখে নিতে আপনি তুলসী, ওরিয়েন্টাল বা পারুল প্রকাশনীর বিসিএস মেনের বইটা কিনতে পারেন, এতে আপনার দ্বিমুখী লাভ------ আপনি বাংলা লেখাও শিখলেন, বাকিগুলোর জন্যও একটা বই হল। তবে আপনি ইচ্ছা করলে নবম দশম শ্রেণীর বিভিন্ন ব্যাকরণ বই থেকেও শিখে নিতে পারেন।
গুরুত্বপূর্ণ এই অংশটা হয়ে গেলে তোমার উচিত লেখার গুণগত মানোন্নয়নে মনোনিবেশ করা। সেজন্য তুমি যে আনন্দবাজার পত্রিকা পড়বে, এক ও একমাত্র ওটাই পড়বে; ওটার বিরুদ্ধে তোমার হাজার অভিযোগ থাকতে পারে কিন্তু ওটাই এখনও বাংলার সবচেয়ে কম বাজে পত্রিকা। ওটার চতুর্থ পাতার সম্পাদকীয় পাতাটা, তোমার মতামতের তীব্র বিরোধ হলেও, পড়তে হবে। ভাল ভাষা শিখতে হলে, এটা দরকার। এছাড়া তুমি দেশ, এই সময়, বর্তমান, খেলা সব কিছু পড়তে পারো --- স্রেফ তোমার লেখনী ধারালো করার জন্য।
জয়দেবের গীতগোবিন্দ, কালিদাসের মেঘদূত, বঙ্কিমের কপালকুণ্ডলা, সুনীলের প্রথম আলো, এসব যদি আপনার পড়ার ইচ্ছা না থাকে, পড়বেন না; কেউ আপনার কাছ থেকে সাহিত্য চাইছে না; বরং দিনের বিভিন্ন সময় নিজেকে মোবাইলের চ্যাটে ব্যস্ত না রেখে, ওয়েব ম্যাগাজিন গুলো পড়ুন না; রসেবশে গুরুচণ্ডালী বা এই জাতীয় গ্রুপে যে সব লেখালেখি হয় পড়ুন; মতামত দিন, আর জানার ক্ষিদে থাকলে সোশ্যাল মিডিয়াতে লেখালিখি করে এরকম দশ বারো জনকে অনুসরণ করো; দেখবে তোমার পেন কেমন গড়গড়িয়ে চলতে চাইছে।
শেষ ধাপ হল, নিজে লেখা; তোমার টাইমলাইন অফুরন্ত জায়গা দিয়েছে; সেখানে লিখতে শুরু করো । এখন কথা হল কি নিয়ে লিখবে? যেমন ধরো - তোমার প্রতিদিনের জীবনে ঘটে. যাওয়া. কোন বিশেষ. অভিজ্ঞতা । এইরকম বহুবিধ নিয়ে লেখা অভ্যাস করলে প্রথমে ভার্চুয়াল লাইক ও পরে একচুয়াল বিসিএস পাওয়া তোমাকে কেউ ঠেকাতে পারবে না। আশা করি কিছুটা হলেও মুষড়ে পরা ভাবটা তোমাদের কেটে গেছে।
thanks to u for your motivational support
ReplyDeleteভালো লাগলো পড়ে। Thank you..
ReplyDeleteধন্যবাদ ।
Deleteদাদা আমি Engineering ছাত্র,, আমি কি গ্রাজুয়েট হওয়ার পর WBCS পরীক্ষা দিতে পারবো
Deleteদাদা আমি Engineering ছাত্র,, আমি কি গ্রাজুয়েট হওয়ার পর WBCS পরীক্ষা দিতে পারবো
Deleteপারবে।
Deleteআইন নিয়ে পড়লে WBSC পরীক্ষায় বসতে পারবো
ReplyDeleteThanks for this discussion.
ReplyDeletePlease do not enter any spam link in the comment box