Ad-1

if( aicp_can_see_ads() ) {

সাধারণ বিজ্ঞান সম্পর্কিত কিছু আলোচনা

সাধারণ বিজ্ঞান


Some important discussion about general science


1. ফ্রান্সের বিজ্ঞানী  জ্যা  ল্যামার্ক  বায়োলজি   কথাটি প্রবর্তন করেন । রবার্ট হুক  1665 সালে  প্রথম Cell বা  কোষ নামকরণ করেন ।  বিজ্ঞানী স্লেইদেন  ও সোয়ান  কোষ তত্ত্ব  (Cell theory)  প্রবর্তন করেন ।

 কোষ তত্ত্বের  ব্যতিক্রমঃ   কোষ তত্ত্বের ভাইরাস ,ভাইরয়েড এবং প্রিয়ন  অকোষীয় । ব্যাকটেরিয়া ও  নীলাভ সবুজ শৈবালের সংঘটিত নিউক্লিয়াস থাকে না।  ভাইরাস বা প্রিয়ন -এর বিভাজনে নতুনত্ব তৈরি হয় না , নতুন করে অপত্যের সংশ্লেষ ঘটে । মিউকোর (ছত্রাক)  এবং ভাউকেরিয়া  বহু নিউক্লিয়াসযুক্ত উদ্ভিদ ।

2. কোষের বৃদ্ধি এবং জননের বিভিন্ন দশার চক্রবৎ আবর্তনকে  কোষচক্র বলে । কোষচক্রের  দুটি উপদশা -  ইন্টারফেজ দশা এবং Mitotic দশা ।
  ক্যারিওকাইনেসিস এর চারটি দশাঃ   প্রোফেজ, মেটাফেজ ,অ্যানাফেজ এবং টেলো ফেজ - এই চারটি দশা আছে ।

3.  প্রোফেজ দশাঃ   নিউক্লিওলাস  ও  নিউক্লিয় আবরণী  বিলুপ্ত হয় ।    প্রতিটি কোষে ক্রোমোজোম গুলো জোড়ায়   থাকে ।  এদের সমসংস্থ বা  হোমোলোগাস ক্রোমোজোম বলে । প্রাণী কোষের সেন্ট্রোজোম এ আরও দুটি সেন্ট্রিওল তৈরি হয় । সেন্ট্রোজোম দুটি ভাগে ভাগ হয় । প্রতিটি ভাগে দুটি  সেন্ট্রিওল থাকে।  প্রোফেজ  চলাকালীন অপত্য  সেন্ট্রোজোম দুটি পরস্পর থেকে ১৮০ ডিগ্রি  দূরে সরে যেতে থাকে এবং প্রোফেজ দশার  শেষে পরস্পরের বিপরীতে গিয়ে থামে ।  মধ্য প্রোফেজ দশায় সেন্ট্রিওল ও অ্যাস্টার রশ্মি থেকে স্পিন্ডল তৈরি হয় ।

4. মেটাফেজ দশাঃ  দুটি সেন্ট্রিওল এর মধ্যে স্পিন্ডল অনুনালিকা মিলে তৈরি শেষ হয় ।  স্পিন্ডেল সূক্ষ্ম অনু নালিকা দিয়ে তৈরি মাকুর মত গঠন যুক্ত । দুই প্রান্তে দুটি মেরু অঞ্চল এবং মাঝ বরাবর নিরক্ষীয় তল থাকে।  ক্রোমোজোম গুলি নিরক্ষীয় তলে সেন্ট্রোমিয়ার দিয়ে স্পিন্ডল তন্তু সঙ্গে যুক্ত হয়।

5. অ্যানাফেজ দশাঃ  ক্রোমোজোম লম্ব ভাবে দুটি ভাগে ভাগ হওয়া মাত্র ক্রোমাটিড এর (এই সময় থেকে অপত্য ক্রোমোজোম বলে) মধ্যে বিকর্ষণ শুরু হয় এবং তারা দুই মেরুর দিকে সরে যেতে শুরু করে । এই ক্রোমোজোম গুলিতে একটিমাত্র ক্রোমাটিড থাকে । অ্যানাফেজ দশায়  ক্রোমোজোমের মেরুর দিকে চলনকে অ্যানাফেজ চলন বলে । সেন্ট্রোমিয়ার এর অবস্থান অনুযায়ী ক্রোমোজোম গুলিকে ইংরেজি  V (মেটাসেন্ট্রিক ) , L (সাবমেটাসেন্ট্রিক) , J(অ্যাক্রো সেন্ট্রিক ) ,  I  (টেলোসেন্ট্রিক)  এর মত দেখতে হয় ।

6. টেলোফেজ দশাঃ  অপত্য ক্রোমোজোম এর নিউক্লিওলার অর্গানাইজার অংশে তৈরি নিউক্লিওলাস গঠিত হয় । এন্ডোপ্লাজমিক জালিকা পরস্পর যুক্ত হয়ে নিউক্লিয় পর্দা তৈরি হয়।

সাইটোকাইনেসিসঃ   যে পদ্ধতিতে সাইটোপ্লাজম দুটি ভাগে ভাগ হয় তাকে সাইটোকাইনেসিস বলে ।

প্রাণীকোষে সাইটোকাইনেসিসঃ যে পদ্ধতিতে প্রাণী কোষে সাইটোকাইনেসিস হয় তাকে ফারোইং (Furrowing) বলে ।

উদ্ভিদ কোষে সাইটোকাইনেসিসঃ   উদ্ভিদ কোষে সাইটোকাইনেসিস কোশপট্ট বা সেল প্লট দিয়ে তৈরি হয়। উদ্ভিদ কোষের টেলোফেজ দশায়  নতুন নিউক্লিয়াস তৈরি হবার সময় স্পিন্ডলের মাঝ বরাবর পর্দাযুক্ত থলি পরপর একসারিতে জমা হয় । এগুলোকে বলে Phragmosome
Phragmosome সহ  সাইটোপ্লাজম কে ফ্রাগমোপ্লাস্ট বলে। ফ্রাগমোজমে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম  পেকটেট থাকে ।


সাধারণ বিজ্ঞান সম্পর্কিত কিছু  One Liner :


  1. কলঙ্কহীন ইস্পাত লোহার সঙ্গে থাকে নিকেল ও ক্রোমিয়াম
  2.  পেস্টিসাইড সাধারণত শস্যক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
  3.  হেবার পদ্ধতিতে  অ্যামোনিয়া  প্রস্তুত করা হয় ।
  4.  কুইক লাইম হলো ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইড
  5.  রাবার প্রস্তুতির প্রক্রিয়াকে vulcanization বলে।
  6.  সিগারেট লাইটারে বিউটেন গ্যাস ব্যবহৃত হয়। 
  7. আইসক্রিমের সঙ্গে জিলেটিন মেশানো হয় কেলাস গঠন রোধ  করতে ।
  8. প্লাটিনাম ধাতু টি বায়ু ও জল দ্বারা সাধারণ অবস্থায় প্রভাবিত হয় না।
  9. P2O হলো একটি শক্তিশালী জল শোষক । 
  10. CnH2n+1OH  সাধারণভাবে অ্যালকোহল শ্রেণী কে বোঝায় । 
  11.  ত্রয়ী  সূত্রের (Triad Law ) প্রবক্তা হলো   Dobereiner
  12. NOহলো একটি লালাভ  বাদামী বর্ণের গ্যাস । 
  13. হ্যালোজেন মৌল হিসেবে সাধারণ উষ্ণতায় ব্রোমিন  তরল অবস্থায় থাকে । 
  14. Acid - এর  pH -এর মান  হল  0 থেকে 6.9 
  15. পেট্রোলের রাসায়নিক নাম হল গ্যাসোলিন । 
  16. ফরমালিনে ফরমালডিহাইড এর শতকরা মাত্রা হল 20 ।
  17.  নিউক্লিয় সংযোজন পদ্ধতিতে হাইড্রোজেন বোমা তৈরি হয় ।
  18. মানবদেহের অক্সিজেন মৌলটি সবচেয়ে বেশি থাকে ।
  19. হিমোসায়ানিন-এ  উপস্থিত মৌল টি  হল তামা। 
  20. অ্যাসপিরিনের  রাসায়নিক নাম হল স্যালিসাইলিক অ্যাসিড
  21. পারমাণবিক চুল্লিতে  U235 আইসোটোপ ব্যবহৃত হয় । 
  22. রাস্তার হলুদ বাতিতে  সোডিয়াম গ্যাস  ব্যবহৃত হয় ।   
  23. যাদুগোরা  ইউরেনিয়াম ধাতু  প্রাপ্তির  কারণে বিখ্যাত। 
  24.  কস্টিক সোডার সঙ্গে লিনসিড  অয়েল উত্তপ্ত করে সাবান প্রস্তুত করা হয় ।
  25.  Anti-Knocking রেট বাড়ানোর জন্য পেট্রোল এ  টেট্র্যা ইথাইল লেড   ব্যবহৃত হয়। 
  26. Exclusion Principle  এর প্রবক্তা হলেন পাওলি । 
  27. কম্পোস্ট  হল  গাছের একটি সুষম সার  । 
  28. এক ব্যক্তি মাথায় ওজন  নিয়ে কোন উচ্চতা থেকে ঝাপালে সে বস্তুর কোন  ওজন অনুভব করবে না এবং ব্যক্তিটির ওজন শূন্য হবে ।    


ধোঁয়া পাক মেরে উপরে ওঠে কারণ ধোঁয়ার মধ্যে উচ্চ তাপমাত্রার বিভিন্ন গ্যাস মিশ্রণ থাকে যা সাধারণ বায়ুর তুলনায় হালকা হয় । 

ইলেকট্রিক বাল্ব ভেঙে গেলে হালকা বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় কারণ Bulb আংশিকভাবে বায়ুশূন্য থাকে । কোন ফাটল পেলে বাইরের বায়ু সেই ফাটল দিয়ে খুব তীব্র গতিবেগে বাল্বের ভিতর প্রবেশ করে ।

 বৃষ্টির পরে রামধনু দেখা যায় এর কারণ হলো বৃষ্টির পরে সূর্যের আলো মেঘের মধ্যে অবস্থিত জলকণা দ্বারা বিচ্ছুরিত হয় এবং বর্ণালি সৃষ্টি করে ।

 কেরোসিন তেল জলের ওপরে জমে কারন  কেরোসিন তেলের ঘনত্ব জলের ঘনত্বের থেকে কম হয় ।

শীতকালে নিঃশ্বাসের সঙ্গে হয় কারণ বাইরে তাপমাত্রা কম থাকায় নিঃশ্বাসে মিশে থাকা জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে ছোট ছোট  জল কণায় পরিণত  হয় যেগুলো সূর্যের আলো প্রতিফলিত করতে সক্ষম ।

নদীর জলের তুলনায় সমুদ্রের জলে সাঁতার কাটা সহজ সাধ্য কারণ সমুদ্রের জলে লবণ দ্রবীভূত থাকায় প্লবতা বেশি হয় ।

 গরুর গাড়ির চাকায় লোহার আবরণ দেওয়ার সময় লোহার আবরণটিকে গরম করে নেওয়া হয় কারণ উচ্চ  উষ্ণতায়  আবরণটির পরিধি বেশি হওয়ায় সেটি  চাকার ওপর  ঠিকভাবে লাগানো যায় ।এরপর এটি ঠাণ্ডা হলে  চাকার ওপর টাইট হয়ে চেপে বসে ।

বজ্রপাতের শব্দ শোনার আগে আলোর ঝলকানি দেখা যায় কারণ আলোর গতিবেগ শব্দের গতিবেগ থেকে বহুগুণ বেশি ।

আকাশের রং নীল হবার কারণ হলো বেগুনি এবং নীল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য কম হওয়ায় এদের বিক্ষেপ বেশি হয় যেখানে লাল আলো প্রায়  সরল রেখায় গমন করে । বায়ুর মধ্যে থাকা ধূলিকণায় বিক্ষিপ্ত হয়ে নীল এবং বেগুনি আকাশের রং নীল প্রতিভাত  করে ।

উচ্চ উষ্ণতায় নিয়ে গেলে কলম থেকে কালি উপচে পড়ে কারণ উচ্চ উষ্ণতায় বায়ুচাপ কমে যায় ।কিন্তু কলমের মধ্যে দ্রবীভূত বায়ুচাপ অপরিবর্তিত থাকে এবং বাইরের বায়ুর চাপের থেকে বেশি হয় ।

 থার্মোফ্লাক্স এর মধ্যে জল বেশিক্ষণ গরম থাকে কারণ থার্মোফ্লাক্স এর দেওয়াল দুটি পরপর কাচের  স্তর দিয়ে আচ্ছাদিত থাকে ।  ওই স্তর  দুটির মধ্যে শুষ্ক বায়ু থাকে । বায়ু তাপের দুর্বল পরিবাহী ।

 সমুদ্রের জলের  Boiling Point   বিশুদ্ধ জলের স্ফুটনাঙ্ক (Boiling Point) এর থেকে বেশি হয় কারণ সমুদ্রের জলে দ্রবীভূত থাকে যা সমুদ্রের জলের Boiling Point  বাড়িয়ে দেয় ।

আমাদের সঙ্গে যুক্ত  থাকতে এখানে দেওয়া  লিংকটি  ক্লিক করুন ।



Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.